দই চিংড়ি প্রস্তুতি: ২০ মিনিট – রান্না: ১৫ মিনিট
পরিবারের ছোটবড় সকল সদস্যদের চিংড়ি বেশ পছন্দের একটি খাবার। বড় বড় চিংড়ি মাছের কথা শুনলেই জিভে জল চলে আসে সকলেই। কিন্তু আপনি জানেন কি শুধু স্বাদই নয় চিংড়ির রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা। চিংড়ি মাছ খাওয়ার অভ্যাস প্রায় ১০ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। এবং মারাত্মক কিছু রোগ থেকেও মুক্তি দিয়ে থাকে। অত্যন্ত সুস্বাদু জিভে জল আনা নানান রকম খাবার তৈরি করা যায় এই চিংড়ি দিয়ে।
চাইনিজ, থাই, মেক্সিকান, এ্যারাবিয়ান ইত্যাদি বিদেশী খাবার থেকে শুরু করে আমাদের ঐতিহ্যবাহী বাঙালী খাবারের বৈচিত্র্য বাড়াতে চিংড়ির জুড়ি নেই। আজকে চলুন শিখে নেয়া যাক চিংড়ির অত্যন্ত সুস্বাদু একটি রেসিপি ‘দই চিংড়ি’। খুব সহজে এবং বেশ কম সময়ে রেঁধে তাক লাগিয়ে দিন পরিবারের সকলকে এবং মন হরণ করে নিন বাড়িতে আসা অতিথীদের।
দই চিংড়ি রান্নার উপকরণ:
- চিংড়ি ৫০০ গ্রাম
- তেজপাতা ২টি
- আস্ত গোলমরিচ ৩-৪টি
- বড় এলাচ ৪টি
- পেঁয়াজ কুচি চার টেবিল চামচ
- আদাবাটা ২ চা-চামচ
- হলুদ গুঁড়া ২ চা-চামচ
- মরিচের গুঁড়া ১ চা-চামচ
- টমাটো ১ টা
- টক দই ১৫০ গ্রাম
- কাঁচা মরিচ ৪-৫টি
- কিশমিশ ১৫-২০টি,
- গরম মসলা ১ চা-চামচ,
- লবণ স্বাদমতো,
- তেল আধা কাপ,
- ঘি ১/২ চামচ
টক দই নিজেই প্রস্তুত করতে পারেন অথবা আমাদের বগুড়ার টক দই ব্যবহার করতে পারেন!
রান্নার পদ্ধতি :
প্রথমে চিংড়ি কেটে পরিস্কার করে লবন ও হলুদ দিয়ে মাখিয়ে নিতে হবে। এবার তেলে হালকা করে ভেজে নিতে হবে। তেল গরম করে তেজপাতা, গোলমরিচ, বড় এলাচ ফোড়ন দিন। ফোড়নের মধ্যে পেঁয়াজবাটা দিয়ে ভাজতে হবে। গোলাপি রং হলে আদাবাটা দিয়ে আরও ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করতে হবে। এবার হলুদ ও মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ কষানো হলে টমাটো ও ফেটানো দই দিতে হবে।
সব মিশে গেলে ১ কাপ গরম পানি দিতে হবে। মশলা খুব ভাল করে কষানো হয়ে গেলে পানি ফুটে উঠলে চিংড়িমাছ, কিশমিশ ও কাঁচা মরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভালো করে ফুটিয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। ৫-১০ মিনিট পর গরম মসলার গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজাদার দই চিংড়ি|